নবজাতকের ত্বকের ৫টি কমন সমস্যা
ছোট
শিশুর ত্বক হয় নরম ও সংবেদনশীল। প্রত্যেক বাবা মার ই জন্মের পর থেকেই শিশুর ত্বকের
যত্ন নেয়া উচিৎ। জন্মের পর থেকেই শিশুর ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো তেমন খুব বড় সমস্যা
নয়। বাবা মার একটু যত্নে এই সকল ত্বকজনিত সমস্যা থেকে শিশুকে রক্ষা করা যায়। এর জন্য বাবা মার উচিৎ শিশুর ত্বকজনিত সাধারণ
সমস্যা গুলো সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখা।
(১) জন্মদাগ
জন্মদাগ
শিশুদের জন্য খুব সাধারন একটি বিষয়। জন্মদাগ বিভিন্নরকম হতে পারে। বিশেষকরে ১ থেকে
১০ টি কালো বা রঙিন জন্মদাগ থাকা শিশুর জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। শিশু যখন
মাতৃগর্ভে থাকে তখন বিভিন্ন চাপে এই ধরণের দাগের সৃষ্টি হতে পারে যা জন্মের কয়েক
মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। এই নিয়ে বাবা মাকে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
বেশির ভাগ জন্মদাগ ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসে। তবে প্রয়োজনে কোন শিশু বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ নেয়া যেতে পারে শিশুর দাগটি সত্যিই জন্মদাগ কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
(২) ইরাইথেমা
টক্সিকাম নিওনেটোরাম
(মাসি-পিসি)
একটি
শিশুর জন্মের দুই থেকে তিন দিন পর পরই মুখ, হাত, পা এমনকি সারা শরীরে লাল লাল দানা
দেখা যায় যা দেখতে অনেকটা মশার কামড়ের মতো দেখায়। এদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়
বলা হয় ইরাইথেমা টক্সিকাম
নিওনেটোরাম যা গ্রাম্ বাংলায় বা প্রচলিত ভাষায় বলা হয়
মাসি-পিসি। এই ধরণের সমস্যায় শিশুর কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। আট থেকে দশ দিনের
মধ্যেই আপনা আপনি এই দাগ চলে যায়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে শিশুরা যেন এই সময়টাতে
অনেক বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
(৩) খোসার
মতো ত্বক
শিশুর
ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই নবজাতক অবস্থায় শিশুর উপযুক্ত যত্ন নিতে হয়।
শিশুদের ত্বক অনেক সময় হালকা পেঁয়াজের মত খোসা খোসা উঠে আসে যাকে পিলিং বলা হয়ে
থাকে। মাত্রারিক্ত শুষ্কতার জন্য এই ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে। বাবা মাকে তাই শিশুর
ত্বক শুষ্ক হয়ে আসছে কিনা সেদিকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর গোসলের পর বাচ্চাদের ত্বকের উপযোগী অলিভ ওয়েল অথবা ময়েশ্চারাইজিং বেবি
লোশন ব্যবহার করা উচিৎ।
(৪) ডায়াপার
র্যাশ
নিম্নমানের ডায়াপার ব্যবহার, অথবা সঠিক নিয়মে ডায়াপার পরানো
এবং পরিবর্তন করা না হলে ডায়াপার র্যাশ হতে পারে। এটি এড়াবার জন্য আরামদায়ক এবং
উচ্চ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন ডায়াপার ব্যবহার করুন। একটি ডায়াপার অবশ্যই ছয়ঘন্টার বেশি
ব্যবহার করা যাবেনা, এবং প্রতিবার ডায়াপার পরিবর্তনের সময় অবশ্যই বাচ্চার ত্বক
ওয়াইপ্স দিয়ে মুছে নেবেন।
(৫) শিশুর
ব্রণ
খুব
ছোট বয়সে বাবা মা শিশুর যে ব্যাপারটি নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পরে সেটি হল শিশুর
ব্রণ বা পিম্পল যা অনেকটা স্বাভাবিক ব্রনের মতই দেখায়। মায়ের রক্তে হরমোনের
প্রভাবে এই ধরণের ব্রন হতে পারে। গোল গোল, সাদা সাদা দানার মত শিশুদের ত্বকে দেখা
দিতে পারে যাকে মিলিয়া বলা হয়ে থাকে। শিশুর ব্রণ হোক আর মিলিয়া হোক, বাবা মায়ের
খুব বেশি বিচলিত হওয়ার প্রয়োজন পরে না বা কোন প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন পরে না।
কিছু দিনের মধ্যেই শিশুর ত্বকের এই সকল সমস্যা আপনা থেকেই সেরে যায়।
আমাদের কেয়ার লাইনে ফোন করে রবি থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারী ছুটির দিন বাদে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপারমম এর ডাক্তারদের সাথে সরাসরি পরামর্শ করতে পারেন মা ও শিশু বিষয়ক যেকোন সমস্যা নিয়ে। আমাদের টোল ফ্রি নাম্বার ০৮-০০০-৮৮৮-০০০
সর্বাধিক জনপ্রিয় আর্টিকেল
-
শিশুর টিকা
-
কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয়া বাচ্চাদের যত্ন
-
জ্বরে আক্রান্ত শিশুর পরিচর্যার টিপস
-
নবজাতকের ত্বকের ৫টি কমন সমস্যা
-
আপনার বেবি কী প্রায়ই ফ্লু বা সর্দিজ্বরে ভোগে?
-
এই ৭টি টিপস আপনার বেবিকে পরিচ্ছন্ন আর সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করবে
-
প্রিম্যাচিউরড বেবির যত্ন
-
বাচ্চার স্বাভাবিক গ্রোথ এর জন্য পুষ্টির এই ৭টি বিষয় খেয়াল করুন