বাচ্চাকে ডায়াপার পরানো এবং তাকে পরিচ্ছন্ন রাখার টিপস
বাচ্চাদের ডায়াপার
পরানো খুবই সচরাচর আর সাধারণ একটি ব্যাপার। এটি কর্মজীবী
মায়ের সময় যেমন বাঁচায় তেমনই বাড়িঘর বা কাপড় নোংরা করা থেকেও মুক্তি দেয়। কিন্তু প্রায়ই
বাচ্চাদের যে সমস্যাটা দেখা দেয় সেটা হচ্ছে ডায়াপার র্যাশ। এই র্যাশ
বাচ্চার জন্য
অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক।
প্রথমদিকে ডায়াপার
পড়ানো বা পরিবর্তন করা একটু
কঠিন লাগতে পারে কিন্তু ধীরে ধীরে একেবারে সহজ হয়ে যাবে।
ডায়াপার পড়াতে বাবা মাকে কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হয়। অথবা বাচ্চাদের যারা দেখা
শোনা করে তাদের এই ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
ভাল মানের
ডায়াপার বেছে নিন
সবচাইতে
বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল ভালো মানের ডায়াপার পছন্দ করা। সস্তা এবং নিম্ন মানের ডায়াপার
আপনার বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ডায়াপার বেছে নেবার সময় তার শোষণক্ষমতা, আরামদায়ক কিনা, এবং
লিকপ্রুফ কিনা তা দেখে নেবেন।
ডায়াপার
পড়ানোর সময় করনীয়
ডায়াপার
বেশি আঁটসাঁট করে পড়ানো যাবে না, তাহলে শিশুরা খুব অস্বস্তিতে থাকবে। ৬ ঘণ্টার মধ্যেই পরিবর্তন
করে দিতে হবে (যদি পায়খানা করে তাহলে সাথে সাথেই পরিবর্তন করতে হবে)। বাচ্চার মল
যত দ্রুত সম্ভব
পরিষ্কার করতে হবে। ডায়াপার
পরিবর্তন করার সময় যদি কোন র্যাশ দেখা
যায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে এন্টিসেপ্টিক বা ডায়াপার ক্রিম ব্যবহার করতে
হবে এবং কিছু সময় ডায়াপার না পড়িয়ে রাখতে হবে।
শিশুকে পরিচ্ছন্ন
করার উপায়
ডায়াপার
বদলানোর সময় শিশুকে খুব যত্ন করে পরিষ্কার করতে হবে। এর জন্য ভেজা কাপড়, তুলার তৈরীর বল অথবা
বেবি ওয়াইপস ব্যবহার করা যেতে পারে যা দিয়ে শিশুর নিম্নদেশ
পরিষ্কার করা যায়। শিশুকে সবসময় সামনে থেকে পেছনদিকে মোছাতে হয় (কখনই পেছন থেকে সামনের দিকে
মোছাবেন না বিশেষ করে কন্যা শিশুর ক্ষেত্রে অন্যথায় ব্যকটেরিয়া সংক্রমন হতে পারে যা
ইউরিনারি ইনফেকশন ঘটাতে পারে ) আপনার শিশুর পায়ের
গোড়ালি ধরে উপরে দিকটি ভালো
করে পরিষ্কার করে দিতে হবে। তার হাটু এবং নিতম্বের ভাঁজ গুলোও
পরিষ্কার করতে হবে। শিশুকে মোছানো শেষ হলে তার শরীর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শুকিয়ে নিন
এবং তারপর ডায়াপার অয়েন্টমেন্ট অথবা ময়েশ্চারাইজিং বেবি লোশন ব্যবহার করুন।
এখানে মনে রাখার জন্য বাড়তি কিছু
টিপসঃ
১। ময়লা
ডায়পার শুধু দুর্গন্ধযুক্তই নয় বরঞ্চ অনেক ধরণের জীবাণুরও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই
ময়লা ডায়পার নিয়মিত ফেলে দিতে হবে অন্তত দিনে একবার।
২। শক্ত ডায়াপার পড়ালে
অনেক সময়্ম
শিশুর পায়ের ও কোমরের আশেপাশে দাগ হয়ে যেতে পারে তাই ঢিলেঢালা ডায়পার পড়ালে
শিশুরা আরাম পেতে পারে।
৩। শিশুর ডায়াপার
পরানোর জায়গায় পায়ে ও কোমরে যদি ফুসকুড়ি দেখতে পান তাহলে কিছুদিন ডায়াপার ব্যবহার
করা বন্ধ রাখুন
৪। শিশুর নাভির নাড়ীটি
যদি এখনও পরে না গিয়ে থাকে তাহলে সেই স্থানটি শুকনো রাখতে ডায়াপারের কোমরের কাছের
অংশটি ভাজঁ করে রাখুন। নাড়ী পরে যাবার কিছুদিন পর পর্যন্ত এমনটি চালিয়ে যান।
৫। ছেলে শিশুকে ডায়াপার
পরানোর সময় ডায়াপারটি আটকাবার আগে শিশুর লিঙ্গটি নিচের দিক করে বসান। এটি তরলজাতীয়
কিছু গড়িয়ে কোমরের উপরিভাগের দিকে আসতে বাধা দেবে।
৬। জীবাণু
যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য শিশুর ডায়পার বদলাবার পর ভাল করে হাত ধুয়ে
নিতে হবে।
পরিশিষ্ট
সঠিক, উন্নত মানের,
আরামদায়ক ডায়াপার শিশুর জন্য সবচেয়ে উপযক্ত। কাজেই সস্তার চিন্তা না করে শিশুর
জন্য উপযুক্ত ডায়াপার নির্বাচন করুন। সন্তানের যথাযথ যত্ন
নেয়া প্রতিটি বাবা মারই একান্ত কর্তব্য।
আমাদের কেয়ার লাইনে
ফোন করে রবি থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারী ছুটির দিন বাদে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল
৫টা পর্যন্ত সুপারমম এর ডাক্তারদের সাথে সরাসরি পরামর্শ করতে পারেন মা ও শিশু
বিষয়ক যেকোন সমস্যা নিয়ে। আমাদের টোল ফ্রি নাম্বার ০৮-০০০-৮৮৮-০০০