গর্ভধারণে সময় লাগছে? ঘাবড়াবার আগে এই আর্টিকেলটি পড়ে নিন!

কিছুদিন ধরে চেষ্টা করেই চলেছেন কিন্তু প্রেগন্যান্ট হতে পারছেন না? কই আপনার পরিচিত অমুক অমুক তো বিয়ের পরপরই প্রেগন্যান্ট হয়ে গেল!

ঘাবড়াবেন না!

প্রতিটি মানুষের সিচুয়েশন আলাদা। বয়স, লাইফস্টাইল, স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত একসাথে হচ্ছেন কিনা ইত্যাদি অনেক কিছুর কারণে গর্ভধারণে কমবেশি দেরি হতেই পারে। 

গর্ভধারণের স্বাভাবিক সময়কাল 

  • ·        প্রায় ৮৪ শতাংশ দম্পতি চেষ্টা শুরু করার ১ বছরের মধ্যে গর্ভধারণে সফল হতে পারেন
  • ·        ১৯-২৬ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৯২ শতাংশ
  • ·        এবং ৩৫-৩৯ বছর বয়সী নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৮২ শতাংশ

            [Source: NHS]

        স্বামীস্ত্রীর মিলিত হবার প্যাটার্ন-এর প্রভাব

প্রতিমাসে নারীদেহে একটি করে ডিম্বাণু নিঃসরণ হয়। এ সময়টাতে দৈহিক মিলন গর্ভধারণের জন্য আদর্শ। কিন্তু এই সময়টা বুঝে বের করা কঠিন। যেহেতু পুরুষের শুক্রাণু নারীদেহে প্রবেশের পর ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সারভাইভ করতে পারে, তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার মিলিত হলে আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি হবে।

স্বাস্থ্যের সমস্যা

স্বামীর ক্ষেত্রে:

§   শুক্রাণু হঠাৎ কম উৎপন্ন হওয়া বা বয়সের কারনে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়া

§   শুক্রাণুর আকৃতি স্বাভাবিক না হওয়া

§   যৌনবাহিত রোগ থাকলে

§   কিছু বিশেষধরনের ঔষধ সেবনে এবং রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে অন্ডকোষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া

§   বহুমূত্র রোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে

§   কোন সংক্রমণের ফলে শুক্রাণু বের হবার পথ বন্ধ হয়ে গেলে

§   পিটুইটারী গ্রন্থির কোন সমস্যা হলে

§   মানসিক দু:শ্চিন্তা

§   থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য

§   অপর্যাপ্ত বিশ্রাম

§   উশৃঙ্খল জীবনযাপন, ধূমপান, মদ্যপান করলে

§   অতিরিক্ত ওজনে

§   অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম করলে ইত্যাদি।

 

স্ত্রীর ক্ষেত্রে:

§   স্ত্রীর বয়স ৩০ বা তার চেয়ে বেশী হওয়ায় গর্ভধারণে বিভিন্ন সমস্যা তেরী হয় 

§   স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: পলিসিস্টিক ওভরিয়ান সিনড্রম, ইউরেটাইন ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেটরিওসিস ও পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ এর কারণে 

§   পুষ্টির অভাব

§   দৈহিক দূর্বলতা

§   শারীরিক ইনফেকশান

§   যৌন বাহিত রোগ

§   অধিক ওজন

§   বহুমূত্র রোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে

§   মানসিক দু:শ্চিন্তা, ইত্যাদি

 

কখন বিশেষজ্ঞ-এর পরামর্শ নেবেন

চেষ্টা শুরুর এক বছরের মধ্যেও যদি আপনি গর্ভধারণ করতে সফল না হন তাহলে একজন বন্ধ্যা রোগের বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ নেবেন। এছাড়া গর্ভধারণ এর চেষ্টা শুরু করার আগেই একজন গাইনি ডাক্তার (বিশেসজ্ঞ হবার প্রয়োজন নেই) দেখিয়ে সাধারণ টিপস জেনে নিলে সুবিধা হবে।

আমাদের কেয়ার লাইনে ফোন করে রবি থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারী ছুটির দিন বাদে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপারমম এর ডাক্তারদের সাথে সরাসরি পরামর্শ করতে পারেন মা ও শিশু বিষয়ক যেকোন সমস্যা নিয়ে। আমাদের নাম্বার ০৮-০০০-৮৮৮-০০০