বাচ্চাদের ডায়াপার র্যাশ কেন হয় আর কীভাবে সারিয়ে তুলবেন

ডায়াপার র্যাশ কি,
কেন হয়, এবং
প্রতিকার/প্রতিরোধ
ডায়াপার
র্যাশ
কি
এটা
শিশুদের ত্বকের একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, যার ফলে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হয়।
এটা মূলত শিশুদের ডায়পার এর নিচে হয়ে থাকে।
ঈস্ট (ছত্রাক), ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের, এলার্জি সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান (সাবান বা পারফিউম থেকে) কারণে এরকম হতে পারে।
যদি শিশুর ডায়পারের নিচের ত্বকে লাল লাল গুটির মতো দেখা যায়, তবে সেগুলো
ডায়পার র্যাশ হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
আসুন
জেনে
নিই
ডায়াপার
র্যাশ
কেন
হয়
১) ডায়াপার
যদি
ভেজা
থাকে
নিম্নমানের ডায়াপার ব্যবহার করা হলে খুব দ্রুতই এটি তার
কার্যক্ষমতা হারিয়ে আপনার শিশুর ত্বকে আদ্রতা সৃষ্টি করতে পারে। আর যখন শিশুর প্রস্রাব তার মলের সাথে মিশে যায় তখন এমোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা খুবই
ক্ষতিকারক।
যে কারণে যেসব শিশুর ঘন ঘন প্রস্রাব-পায়খানার বেগ
পায় বা ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়, তাদের ডায়াপার
র্যাশ হয় খুবই বেশি।
এছাড়া কোন ডায়াপার যদি দীর্ঘ সময় পরিয়ে রাখা হয় অথবা শিশুটির ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়, সেক্ষেত্রেও ডায়াপার
র্যাশ দেখা দিতে পারে।
২) নতুন
খাবারে
অভ্যস্ত
হওয়ার
সময়
শিশুরা
যখন প্রথম "সলিড ফুড" খেতে শুরু করে তখন তাদের ডায়পার র্যাশ হতে পারে।
যেকোন নতুন খাবার তাদের মলের উপাদানগুলোতে পরিবর্তন নিয়ে আসে।
নতুন খাবারে অভ্যস্ত হতে শিশুদের কিছুটা সময় লাগে, তাই এসময় তাদের হালকা পেট খারাপ হতে পারে।
এমনকি যেসব মায়েরা বাচ্চাদের বুকের দুধ পান করান, তারা নিজেরা কিছু খেলে সেটাও দুধের সাথে শিশুর পেটে গিয়ে পেট খারাপ হতে পারে, যার ফলে ডায়াপার র্যাশ হতে পারে ( ঘন ঘন পেট খারাপ, ডায়াপারের সাথে মল লেগে যাওয়া, ভেজা ভাব, ফলাফল র্যাশ)।
৩) ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের আক্রমণ
শিশুর
ভেজা ডায়াপার ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণের জন্য খুবই উপযোগী।
ফলে শিশুর ত্বকে বিশেষ করে যে যে স্থানে দাগ বা ফাটা আছে, সেখানে এদের
সংক্রমণ বেশি হয়।
৪) এন্টিবায়োটিক
শিশু
বা শিশুর মা যদি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে তারা ইস্ট ( এক রকমের ছত্রাক) দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন।
কারণ এন্টিবায়োটিক ইস্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম এরকম ব্যাক্টেরিয়া ও অন্যান্য উপকারী
ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা দেহ থেকে কমিয়ে দেয়।
এন্টিবায়োটিক অনেক সময় ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে, যার ফলে ডায়াপার র্যাশ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডায়াপার র্যাশ হলে শিশুকে কি ডাক্তারের কাছে নেয়া জরুরী?
সাধারনভাবে
বলতে গেলে, না, জরুরী নয়। নিয়মিত শিশুর
ডায়াপার পরিষ্কার করা হলে ৩/৪
দিনের মাঝেই র্যাশ দূর হয়ে যায়।
তবে যদি এরকম হয় র্যাশের স্থানে সংক্রমণ, ক্ষত, পুঁজ দেখা যায় এবং দেহে জ্বর থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ডায়াপার র্যাশ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
১) উচ্চ শোষণ ক্ষমতা
সম্পন্ন এবং আরামদায়ক ডায়াপার ব্যবহার করুন যা ওভারফ্লো বা লিকেজ হতে দেবেনা এবং
বাচ্চার র্যাশ হবার প্রবণতা কমাবে।
২) প্রতিবার ডায়পার পরিবর্তন করে নতুন ডায়াপার পরানোর আগে শরীরের সে অংশটি বেবি ওয়াইপস দিয়ে মুছে নিন।
৩) ওয়াইপস ব্যবহার শেষে পেট্রোলিয়াম জেলি,পেট্রোলিয়াম অয়েন্টমেন্ট
ব্যবহার করুন।
এগুলো শিশুকে মল-মূত্র
ত্বকে লেগে থাকা
জনিত
অস্বস্তিকর ওবস্থা থেকে সুরক্ষিত রাখে।
৪) সঠিক সাইজের ডায়াপার ব্যবহার করুন যাতে বাচ্চার শরীরে অনেক
টাইট হয়ে লেগে না থাকে।
৫) র্যাশ থাকা অবস্থায় শিশুকে ডায়াপার ছাড়াই ঘুমাতে দিন।
এক্ষেত্রে রেক্সিনের কাভার ব্যবহার করুন, যেটা বিছানাতে শিশুর মল-মূত্র
পরার সমস্যাটা দূর করবে।
৬) যে খাবারগুলো খেলে আপনার শিশুর ত্বকে এলারজি হয় সেগুলো ওকে
খাওয়াবেন না। কারণ ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়লে ডায়াপার র্যাশ হবার প্রবণতা বেড়ে যায়।
আমাদের কেয়ার লাইনে ফোন করে রবি থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারী ছুটির দিন বাদে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপারমম এর ডাক্তারদের সাথে সরাসরি পরামর্শ করতে পারেন মা ও শিশু বিষয়ক যেকোন সমস্যা নিয়ে। আমাদের টোল ফ্রি নাম্বার ০৮-০০০-৮৮৮-০০০