গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা বুঝতে চান?

অনেক মা-বাবার এমনকি পরিবারের সকলের আগ্রহ থাকে মায়ের গর্ভে যে
শিশুটি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে তা কি ছেলে না মেয়ে। এ কৌতুহল চিরন্তন।
আল্ট্রাসাউন্ড করে অনেক মা-বাবা আগে
থেকেই বাচ্চার জেন্ডার জেনে নিতে চান। তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করার আগে জরুরী কিছু
বিষয় জেনে নিন
কখন আল্ট্রাসাউন্ড
করা যাবে?
প্রেগন্যান্সির ২২
সপ্তাহ থেকে ২ডি আল্ট্রাসাউন্ড করে বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যেতে পারে। তবে বাচ্চার
পজিশন/গ্রোথ ভেদে এটি ঠিকভাবে বোঝা নাও যেতে পারে।
৩০ সপ্তাহের মধ্যে
মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে বাচ্চার জেন্ডার কি। ৩ডি আলট্রাসাউন্ডে অবশ্যই
আরও পরিষ্কার দেখা যায়। তাই আমরা সাজেস্ট করব আপনি এই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
বাচ্চার জেন্ডার
আল্ট্রাসাউন্ডে না বুঝতে পারার কারণ কী?
বেশি দ্রুত আল্ট্রাসাউন্ড
করানো
প্রেগন্যান্সির ২২
সপ্তাহ থেকে ২ডি আল্ট্রাসাউন্ড করে বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যেতে পারে। তবে বাচ্চার
পজিশন/গ্রোথ ভেদে এটি ঠিকভাবে বোঝা নাও যেতে পারে।
৩০ সপ্তাহের মধ্যে
মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বোঝা যায় যে বাচ্চার জেন্ডার কি। তাই আমরা সাজেস্ট করব আপনি
এই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
টেকনোলজি
২ডি এর তুলনায় ৩ডি
আল্ট্রাসাউন্ডে বেশি পরিষ্কার দেখা যায়। অর্থাৎ লেটেস্ট টেকনোলজি বা ভাল
আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনে রেজাল্ট অনেকটা ক্লিয়ার দেখা যায়।
মায়ের দেহের ফ্যাট
গর্ভবতী মায়ের পেটে
অতিমাত্রায় ফ্যাট থাকলে আল্ট্রাসাউন্ডে পরিষ্কার দেখা যাবে না।এক্ষেত্রে ধৈর্যহারা
না হয়ে বরং বাচ্চা ডেলিভারি পর্যন্তই অপেক্ষা করুন। এবং গর্ভাবস্থায় বাড়তি ওজন
পরবর্তি স্টেজে ঝুঁকির কারণ হতে পারে তাই ডায়েটিশিয়ান এবং আপনার গাইনোকলজিস্ট এর
পরামর্শ নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের প্ল্যান করুন।
এমনিয়টিক ফ্লুইড এর পরিমাণ
জরায়ুতে পানি কম
থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যায়না। কারণ মেশিনে তখন ভাল পিকচার
আসেনা।
বাচ্চার পজিশন
আল্ট্রাসাউন্ড
করাবার সময় গর্ভের শিশু যদি দুপা চেপে রাখে (অর্থাৎ ফাঁক না থাকে) অথবা পায়ের
ফাঁকে যদি নাড়ি পেচিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বাচ্চার জেন্ডার বোঝা যাবেনা।
বাচ্চার জেন্ডার না বুঝতে
পারলে কী করবেন
কোন ডাক্তারই
আপনাকে বাচ্চার জেন্ডার বোঝার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড করতে বলবেন না। বরং আপনার
প্রেগন্যান্সি কী অবস্থায় আছে, কোন বিপদ চিহ্ন আছে কিনা ইত্যাদি জানাই হচ্ছে
আল্ট্রাসাউন্ড করাবার উদ্দেশ্য।
জেন্ডার একবারে
বুঝতে না পারায় বারবার আল্ট্রাসাউন্ড করানো ঠিক না। কারণ, এই টেস্ট সরাসরি আপনার
কোন ক্ষতি না করলেও আসা যাওয়ার ধকল তো থাকবে। কোন কারণে যদি আবারো জেন্ডার না দেখা
যায় তাহলে আপনি অযথাই আরও বেশি টেনশনে পড়ে যাবেন।
শেষ কথা হচ্ছে,
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তাতে কিছু আসে যায় না। আপনার প্রার্থনা হওয়া উচিৎ আপনি
যাতে সুস্থ্য শিশু জন্ম দিতে পারেন এবং তাকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে
পারেন।পড়ুন
আমাদের কেয়ার লাইনে ফোন করে রবি থেকে
বৃহস্পতিবার (সরকারী ছুটির দিন বাদে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপারমম এর ডাক্তারদের সাথে সরাসরি পরামর্শ
করতে পারেন মা ও শিশু বিষয়ক যেকোন সমস্যা নিয়ে।
আমাদের টোল ফ্রি নাম্বার ০৮-০০০-৮৮৮-০০০