শিশুর খাদ্য কেমন হওয়া উচিত ?
শিশুর খাদ্য অপর্যাপ্ত কিংবা ত্রুটিপূর্ণ হলেই শিশু হবে অপুষ্টির শিকার। তাই সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে শিশুকে বেড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাদ্যের ব্যবস্থা করা। শিশুর খাদ্য নির্বাচনের সময় তার বয়সসীমা, তার কার্যকলাপ, সুস্থতা ইত্যাদি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক লক্ষণীয়।
শিশু বয়সকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন ১ থেকে ৩ বছর, ৩-৬ বছর [প্রি-স্কুলগামী], ৬-১২ বছর [স্কুলগামী]। আবার শিশুর বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে নজর রাখতে হয় তার খাবারের কিলোক্যালোরি, প্রোটিন, খনিজ লবণ [ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, জিংক ও আয়োডিন], ভিটামিন [এ, ডি, সি, বি-কমপ্লেক্স], পানি ও দুধের প্রতি। তাহলে জানা দরকার বয়সভেদে খাবারের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। যেমনথ ১-৩ বছরের শিশুর দৈনিক কিলোক্যালোরির প্রয়োজন ১২১০-১২৫০। কিন্তু ৩-৬ বছরের শিশুর প্রয়োজন ১৭০০ কিলোক্যালোরি দিনে। সে ক্ষেত্রে ৬-১২ বছরের শিশুর প্রয়োজন আছে ১৯৫০-২১০০ কিলোক্যালোরি। এ ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েতে কিছুটা পার্থক্য দেখা দেয়। প্রোটিনের বেলায়, শিশু বয়সেই প্রতি কেজি ওজনের জন্য বেশি প্রোটিন প্রয়োজন। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি কেজি ওজনে কমলেও মোট প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যেমনথ ১-৩ বছরে ১.৫-২ গ্রাম/কেজি; ৩-৬ বছরে ২ গ্রাম/কেজি; ৬-১২ বছরে মোট প্রোটিন প্রয়োজন ৪০-৬০ গ্রাম দিনে।
এ ছাড়াও অন্যান্য উৎপাদানের চাহিদা মেটানোর জন্য অল্প করে দৈনিক খাবারের পরিমাণ [মাছ, মাংস, ভাত, রুটি, সবজি, ফল ইত্যাদি] বাড়ালেই যথেষ্ট। তবে দুধের পরিমাণ খাবারে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুধের পরিমাণ কমে অন্য খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে, তবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধ থাকা প্রয়োজন।
সর্বাধিক জনপ্রিয় আর্টিকেল
-
জ্বী! আমাদের এই ৮টি ভুলের জন্যই এখনকার বাচ্চারা মোটা হবার সমস্যায় ভুগছে।
-
বাসায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলো থেকে আপনার বাচ্চা কতটুকু নিরাপদ? যাচাই করে নিন আজই।
-
শিশুর খাদ্য কেমন হওয়া উচিত ?
-
বাচ্চাদের জাঙ্কফুড ছাড়িয়ে ভাল খাবার অভ্যাস গড়ে তোলার টিপস
-
বাচ্চা স্কুলের টিফিন না খেয়েই ফেরত আনছে? তাহলে এই ২টি রেসিপি ট্রাই করুন