আরেকটা বেবি নিতে চান? এই ৪টি বিষয় খেয়াল রাখুন

আরেকটা বাচ্চা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাকে তার শারীরিক বিষয়টির ব্যাপারে খেয়াল রাখা খুব জরুরীপ্রথম সন্তান জন্মের কতদিন পর দ্বিতীয় সন্তান নিবেন তার জন্য স্বামী-স্ত্রী দুইজনকেই কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা আবশ্যক

প্রথম সন্তান জন্মের মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান  গর্ভে আসলে যে সব সমস্যা হতে পারে:

  • নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই সন্তান প্রসব
  • সন্তানের কম ওজনের হওয়া
  • আকারে ছোট হওয়া
  • অপুষ্টিতে ভোগা

তবে ৭ থেকে ১৭ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নিলে বাচ্চাদের মাঝে এসব সমস্যার আশংকা কমে যায়।

দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার আগে মাকে যেসব শারীরিক বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়:

§  প্রথম সন্তান প্রসবের পর মায়ের শরীর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন হয় বিশেষজ্ঞ চিকৎসকদের মতে, প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার মাঝে অন্তত ১৮ মাসের ব্যবধান থাকলে প্রসূতি মা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে যথেষ্ট সময় পান্।

§  বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী কম বেশি রক্তশূণ্যতা এবং অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগেনসেসব মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার মাঝে অন্তত ২ বছর বিরতি থাকা প্রয়োজন।

§  একটি সন্তান জন্মের পরপরই দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ  করলে শরীরের প্রয়োজনীয় লৌহ, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-এর অভাব পূরণ করা নারীর শরীরের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয় সন্তানটি নানারকম সমস্যা নিয়ে জন্ম নেয়। তাই মায়ের শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনা করে দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার বিষয়ে মাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

§  সর্বশেষ গর্ভাবস্থায় আপনি কি অনেক দূর্বল আর ক্লান্ত বোধ করতেন? আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে আরেকবার গর্ভধারণ করতে প্রস্তুত? কারণ আপনার গর্ভে বাড়তে থাকা সন্তানের পাশাপাশি আপনাকে কিন্তু আরেকটি বাচ্চার দেখাশোনার কাজটিও করতে হবে।

পরিশিষ্ট:

আরেকটি সন্তান নেয়ার আগে আপনার শারীরিক, মানসিক, আর্থিক এবং পরিবারের সবার সহযোগিতার বিষয়টি আগে নিশ্চিত করুন। সন্তানের বয়সের পার্থক্য কম বা বেশি হবার সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে। দিন শেষে সিদ্ধান্তটা আপনার এবং আপনার স্বামীর দুজনেরই

আমাদের কেয়ার লাইনে ফোন করে রবি থেকে বৃহস্পতিবার (সরকারী ছুটির দিন বাদে) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপারমম এর ডাক্তারদের সাথে সরাসরি পরামর্শ করতে পারেন মা ও শিশু বিষয়ক যেকোন সমস্যা নিয়ে আমাদের টোল ফ্রি নাম্বার ০৮-০০০-৮৮৮-০০০